টেটকাণ্ডের তদন্তে সিআইডি। রবিবার তারা তদন্তভার হাতে পায়। তদন্তভার হাতে পেয়ে তারা তদন্তও শুরু করে দিয়েছে। যে বাস থেকে প্রশ্নপত্র উধাও হয় বলে অভিযোগ, রবিবার, শ্রীরামপুরে গিয়ে সেই বাসটি পরীক্ষা করে দেখেন গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওই বাসের চালক ও খালাসিকে।
বাসের চালকের দাবি, বৃহস্পতিবার প্রশ্নপত্র নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের কাছে দুটি বাস রেষারেষি করতে করতে তাঁর বাসটিকে ধাক্কা মারলে লুকিং গ্লাসটি ভেঙে যায়। সেই অবস্থাতেই তিনি বাসটি চালাচ্ছিলেন। এরপর, বালি পেরিয়ে মাইতিপাড়ায় ঢোকার মুখে টের পান বাসের পিছনের কাচ ভাঙা।
শ্রীরামপুর পোস্ট অফিসের তরফে বাসটি ভাড়া করা হয়েছিল। বাস ইউনিয়নের সম্পাদকের দাবি, বাসচালক ও খালাসি তাঁকে জানিয়েছেন, যে ভাবে প্রশ্নপত্রগুলি তাঁরা রাখতে বলেছিলেন, সেভাবে রাখা হয়নি।
ওই বাসে পুলিশ ও ডাক বিভাগের ২ জন করে কর্মী ছিলেন। এই চারজনের বিরুদ্ধে শনিবার বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাঁদেরও আগামী দিনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।
রবিবার প্রায় তেইশ লক্ষ প্রার্থীর টেট পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। কিন্তু, বৃহস্পতিবার, সল্টলেকের মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে হুগলির বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানোর সময় নজরে আসে বাস থেকে উধাও প্রশ্নপত্র ভর্তি একটি বস্তা। এরপরই পরীক্ষা ৪ অক্টোবর পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতেও পারদ চড়েছে। বিরোধীরা নিশানা করেছে শাসক শিবিরকে।
তা হলে কি চাপে পড়েই সিআইডির হাতে তদন্তভার তুলে দিতে হল রাজ্য সরকারকে? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
No comments:
Post a Comment