?affrid=alapanol

Monday 31 August 2015

IBPS এর মাধ্যমে ব্যাংকে চাকরির প্রস্তুতি ও পড়াশোনা

রাষ্ট্রায়ত্ত বা বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি পেতে দরকার দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি; বিস্তর পড়াশোনা। স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনার শেষ দিকে শুরু করতে পারেন এই প্রস্তুতিপর্ব।
শুরুতে বিভিন্ন ব্যাংকের আগের প্রশ্নের ধরন দেখে ধারণা নেওয়া যায়। যেকোনো ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত দুই ভাগে প্রশ্ন হয়। একাংশে থাকে এমসিকিউ, অপরাংশে লিখিত বা বর্ণনামূলক প্রশ্ন। দুটি অংশের পরীক্ষা একসঙ্গে হতে পারে আবার আলাদাও হতে পারে। ব্যাংকভেদে পরীক্ষার সময় ও নম্বরে তারতম্য দেখা যায়। তবে প্রশ্ন যেমনই হোক না কেন, যথার্থ প্রস্তুতি থাকলে, প্রাথমিক বাছাই ও লিখিত পরীক্ষার গণ্ডি পেরিয়ে চাকরিতে প্রবেশ সময়ের ব্যাপার মাত্র।
প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা: এ অংশে ভালো করার জন্য সময়জ্ঞান, তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তা, সার্বক্ষণিক মনোযোগ ও মনোবল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটার বিধান থাকায় বাড়তি সতর্কতাও জরুরি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান ও কম্পিউটার প্রযুক্তি অংশ থেকে প্রশ্ন থাকে সব মিলিয়ে ১০০ নম্বরের। বিসিএসসহ অন্যান্য সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিও সহায়ক হয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরীক্ষায়। বাংলার ক্ষেত্রে সাহিত্য অংশ থেকে অধিকাংশ প্রশ্ন এলেও বাংলা ব্যাকরণের বানান বা বাক্য শুদ্ধিকরণ, প্রবাদ প্রবচন, বাগ্ধারা, সন্ধি, সমাস, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, এককথায় প্রকাশ থেকে প্রশ্ন আসে। নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পুরো পড়ে ফেললে ভালো হয়। ইংরেজিতে সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দসহ ব্যাকরণ অংশ থেকে প্রশ্ন থাকে। বায়োলজি, বাক্যে ভুল নির্ণয় ও সংশোধন, অপূর্ণ বাক্য সম্পূর্ণ করা এবং প্রদত্ত প্যাসেজ থেকে প্রশ্নোত্তর বেশি বেশি অনুশীলন করলে যেকোনো ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় দ্রুত উত্তর দেওয়া সম্ভব। অন্য অংশের জন্য হাতে বেশি সময় থাকে। তুলনামূলকভাবে গণিতে বেশি সময় লাগে। এ অংশে সাধারণ গণিতের পাশাপাশি গাণিতিক বিশ্লেষণক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য
টেস্ট থাকে। গণিত অংশে ভালো করতে
হলে বেশি করে অনুশীলনের বিকল্প নেই। ক্যালকুলেটর ছাড়া ইংরেজি ভাষায় অঙ্ক সমাধানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। কম্পিউটার প্রযুক্তির জন্য বাজারের যেকোনো বই
ভালো করে পড়লেই হয়।
লিখিত পরীক্ষা: প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ভালো করার পর ব্যাংকে চাকরি পাওয়া বহুলাংশে নির্ভর করে লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ওপর। প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় ভালো করেছেন মানে টুকিটাকি তথ্য আপনার দখলে। এখন ক্রমানুসারে সেগুলো লিখিত আকারে উপস্থাপনের পালা। এ অংশে অনুবাদ, গণিত, বাংলা ও ইংরেজিতে সংক্ষিপ্ত রচনা থাকতে পারে। লিখিত অংশে লেখার অভ্যাস করতে হবে। এ জন্য ইংরেজি ও বাংলা পত্রিকার সম্পাদকীয় কলামগুলো নিয়মিত পড়লে ভালো কাজে আসে। এ ছাড়া মানসম্মত ম্যাগাজিন পড়ার অভ্যাস থাকলে বিশ্লেষণক্ষমতা বাড়ে, তাই সুবিধা পাওয়া যায় লিখিত অংশে।
মৌখিক পরীক্ষা: মৌখিক পরীক্ষায় প্রশ্নকর্তা কী জানতে চান, তা আগে ভালোভাবে শুনুন; তারপর বলুন। অন্য যেকোনো চাকরির মতো ব্যাংকের নিয়োগ ভাইভাও সাবলীল প্রকাশভঙ্গি, আত্মবিশ্বাস ও আগ্রহের বিষয়টির জন্য করা হয়। নিজের পরিচয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যাংকের প্রতি আগ্রহের কারণ, ভবিষ্যৎ পেশা পরিকল্পনা প্রভৃতি বিষয়ে গুছিয়ে বলার অনুশীলন করতে হবে। বিশেষ করে নিজের পড়াশোনার বিষয়ে ধারণাটা স্পষ্ট থাকা দরকার।

No comments:

Post a Comment